ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে ইরানের শক্তিশালী মিসাইল হামলায় ৩ জন নিহত এবং আরও ৬৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যাদের অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে দখলদার দেশটির উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা।

ইসরায়েলের ইয়নেট নিউজ আউটলেটের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা নামক এলাকার একটি ভবনে স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ জুন) ভোরে ইরানের একাধিক মিসাইল সরাসরি আঘাত হানে। হালকা থেকে মাঝারি মানের মিসাইলের আঘাতে ভবনটি ধ্বসে পড়ে এবং এখন পর্যন্ত ৭০ জন হতাহতকে সরিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ইয়নেট নিউজ বলছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভায় নিহত তিনজনের বয়স ৭০ এর কোঠায়। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং দুইজন নারী।

টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে যে পেতাহ টিকভাতে যে ভবনটি আঘাত হেনেছে তা একটি ২০ তলা ভবন ছিল এবং এর চতুর্থ এবং পঞ্চম তলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিব্রু ভাষায় লেখা এক এক্স বার্তায় জানিয়েছে, হতাহতদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান এবং অবস্থান অভিযান এখনও জোরদারভাবে অব্যাহত রয়েছে।

পারমানবিক স্থাপনা ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ব্যক্তিদের হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলের তেল-আবিব, জেরুজালেম, হাইফাসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোরে ইরান দেশটির মধ্যাঞ্চলে সর্বশেষ মিসাইল হামলা চালায়। এটি এই এলাকায় প্রথম হামলা।

এর আগে, তেহরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন মিসাইল নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে একটি মিসাইল ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী হাইফার একটি ভবনে সরাসরি আঘাত হানে, যার ফলে ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা।

রোববার (১৫ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাদের ক্যামেরায় ধরা পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দরনগরী হাইফার আকাশে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে ধোঁয়া উড়ছে। ওই সময় একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি একটি ভবনে আঘাত হানে।

ইসরায়েলি ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, একটি আবাসিক ভবনে সরাসরি মিসাইল আঘাত হেনেছে এবং তাদের উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

দেশটির জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, মিসাইলের আঘাতে হাইফায় চারজন আহত হয়েছে। হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিরূপণের কাজ এখনো চলছে। এই হামলা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।